আবোল-তাবোল জীবনের গল্প [ আচরণ ]

in আমার বাংলা ব্লগ4 years ago

হ্যালো বন্ধুরা,

আশা করছি সবাই ভালো আছো। তবে যে রকমই থাকো না কেন, ভালো থাকার একটা প্রচেষ্টা চলমান রাখার চেষ্টা করা উচিত আমাদের সব সময়। কারণ আমি নিজেও বিশ্বাস করি ভালো থাকার চেষ্টা আমাদের ভালো থাকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে এবং আমাদেরকে মানসিকভাবে ভালো থাকার সুযোগ তৈরী করে দিতে পারে। যাইহোক সেটা পুরোটা আমাদের নিজেদের উপর নির্ভর করে। কারণ আমরা শুনতে কিংবা পড়তে ভালোবাসি, বিশেষ করে জ্ঞানের কথা, যার প্রতি একটা আকর্ষণবোধও কাজ করে কিন্তু সমস্যা হলো সেটাকে আকঁড়ে ধরার কিংবা পালন করার নূণ্যতম আগ্রহ আমাদের মাঝে দেখা যায় না। সত্যি এটা বেশ দুঃখজনক এবং নির্মম একটা সত্য। কেন জানি আমাদের হৃদয়ে ভালো কিছুর প্রতি আকর্ষণটা তুলনামূলকভাবে একটু কম দেখা যায়। আজ এর কারণ কিংবা এই বিষয়টি নিয়ে একটু আলোচনা করার প্রয়াস চালাবো।

যদিও আমি সকল বিষয়ে যথার্থ জ্ঞান রাখি না বা আমার জ্ঞান নেই। কিন্তু তবুও বাস্তব জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা হতে নিজের অনুভূতিগুলোকে পর্যালোচনা কিংবা আলোচনার মাধ্যমে একটা কিছু বের করার চেষ্টা করি। হয়তো আপনাদের মাঝে অভিজ্ঞতা কিংবা জ্ঞান দুটোরই সঠিক উপস্থিতি রয়েছে, হয়তো আমার লেখাটি পড়ে আপনি সেই অভিজ্ঞতাটা সকলের সাথে ভাগ করে নেয়ার ক্ষেত্রে একটু হলেও আগ্রহবোধ করতে পারেন, আর তা হলেই আমার লেখার সার্থকতা চলে আসবে। সে যাইহোক, কেন আমাদের ক্ষেত্রে এই রকম হয় সেটা আলোচনা করাই আমার আজকের মূখ্য উদ্দেশ্য। আমার দৃষ্টিতে খারাপ বিষয়গুলো হলো অনেকটা ভাইরাসের মতো, যা সর্বদা বাতাসে উড়ে বেড়ায় এবং সুযোগ পেলেই আমাদের হৃদয়ে আঘাত হানে।

teddy-g8d50fc99c_1920.jpg

আমরা কারনে অকারণে সেই ভাইরাসগুলোর দ্বারা আক্রান্ত কিংবা প্রভাবিত হই এবং ফলস্বরূপ আমরাও সেই বিষয়গুলোতে বাড়তি আকর্ষণবোধ করি। এটা শুধুমাত্র আমার মত, এই ক্ষেত্রে অন্য কিছুও থাকতে পারে। আমাদের ধর্মমতে শয়তান এই ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তবে আমি সেই দিকে যেতে রাজি নই বরং বাস্তবতার আলোকে আমার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে চাই। তবে একটা বিষয় কিন্তু আমাদের নিকট সব সময়ই স্পষ্ট থাকে, আর সেটা হলো কারা ভাইরাস দ্বারা বেশী আক্রান্ত এবং কাদের ব্যবহার কিংবা আচরণগুলো ভাইরাসের মতো, তা কিন্তু আমরা ঠিকই বুঝতে পারি। কিন্তু তবুও সেই মানুষগুলো হতে আমরা দূরে থাকতে পারি না, বা তাদের সংস্রব পরিত্যাগ করতে পারি না। প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয় ইতিপূর্বে আমি সংস্রব নিয়ে আবোল-তালোব জীবনের গল্পের একটা পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজকের লেখাগুলোও অনেকটা সেই পর্বের সাথে সংযুক্ত রয়েছে।

আচ্ছা যে কথা বলতেছিলাম, বাস্তব একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে। আমি একবার আমার ছেলের স্কুলে গিয়েছিলাম, সেখানে বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করি এবং ক্লাসরুমে ছেলের সাথে বসে কিছু আলোচনা করি। হঠাৎ তাদের একজন সহপাঠী ক্লাসে প্রবেশ করে এবং অন্য একজন ছাত্রকে কিছু বিষয়ে কঠিন নির্দেশনা প্রদান করে। তার মাঝে একটা নির্দেশনা ছিলো এই রকম, তোকে না নিষেধ করেছিলাম ভাইরাসের সাথে না মিশতে। বিষয়টি আমার কাছে কেমন জানি একটু লাগলো, আমি আমার ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম ভাইরাস কাকে বলছে? ছেলে খুব স্বাভাবিকভাবে উত্তর দিলো এবং একজন ছেলের নাম বললো যে তাদেরও সহপাঠী। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম তাকে ভাইরাস কেন বলা হচ্ছে, ছেলে আবার স্বাভাবিকভাবে উত্তর দিলো, ও অনেক খারাপ, খুব বেশী দুষ্টমি করে। ওর সাথে যারা মিশে তারাও খুব বেশী দুষ্ট হয়ে যায়। তাই তার সাথে না মেশার জন্য সবাইকে সতর্ক করা হয়।

দেখুন কি অবস্থা? আজকাল ছোট বাচ্চারাও বিষয়টি বুঝতে পারছেন কিন্তু নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। আসলেই কিছু আচরণগত দিক দেখে এটা খুব সহেজই অনুমান করা যায়, সে ভালো নাকি খারাপ? আমাদের সময় এই সম্পর্কিত একটা চিরন্তন সত্য বাণী প্রচারিত হতো, যদিও এখন বা বর্তমান সময়ে এই সকল চিরন্তন বাণী সমূহের খুব একটা মূল্য নেই। আচরণ এবং ব্যবহার দেখেই অনুমান করা যায় তার বংশ কেমন। সত্যিই তাই আচরণ কিংবা ব্যবহার অনেক কিছুই স্পষ্ট করে দেয়। যে ভালো কিংবা ভালো বংশের তার ব্যবহার কিংবা আচরণগুলো অনেকটাই মার্জিত থাকবে এবং তার মাঝে খারাপ বিষয়গুলোর ভাইরাস খুব একটা সুযোগ পাবে না। ভাইরাসগুলো সহসাই তাকে আঘাত করতে পারবে না, কারন তার আচরণই তাকে অনেক কিছু হতে সহজেই বাঁচিয়ে রাখবে।

bear-ge3766c4d4_1920.jpg

আরো একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন, দশ বন্ধু একসাথে থাকে তাদের মাঝে নয়জনই ভালো কিন্তু একজনের সিগারেট খাওয়ার অভ্যেস রয়েছে। এখানে বিষয়টি এমন হওয়া উচিত ছিলো যে, বাকি নয়জনের প্রভাবে সেই একজনের সিগারেট খাওয়ার অভ্যেসটি পরিবর্তন হওয়ার। কিন্তু ঘটনাটা উল্টো ঘটে থাকে, ঐ মাত্র একজনের প্রভাবে বাকি নয়জনের মাঝেই সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা কিংবা অভ্যেস চলে আসে। একজনের ভাইরাসে বাকি নয়জনকে আক্রান্ত করে ফেলে এবং একটা সময় শেষে সবাই সিগারেটের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়। কি হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু ফলাফল কি হলো? এটাই নির্মম সত্য খারাপ ভাইরাসগুলো নিদারুণভাবে আমাদের প্রভাবিত করে এবং আমরা সেটার প্রতি দারুণভাবে আসক্ত হয়ে পরি।

কিন্তু আমরা যদি একটু সচেতন থাকতে পারি বা থাকার চেষ্টা করি এবং আচরণগত দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে শুরু হতে নিজেদের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে কিন্তু অনেক কিছুই সম্ভব। আমার ক্লাসের সহপাঠী সবাই তাস খেলায় বেশ আসক্ত ছিলেন, বহুদিন তাদের সাথে একত্রে স্কুল ফাঁকি দিয়েছি। আড্ডা দিয়েছি কিন্তু তাদের আচরণগত দিক এবং অভ্যেসগুলোর ব্যাপারে আমি বেশ সচেতন ছিলাম। বিশ্বাস করেন আমি আজও তাস খেলাটা বুঝি না। তারা সবাই স্কুল জীবন হতেই সিগারেটে আসক্ত ছিলেন, সংখ্যায় বেশী হওয়ার সত্বেও আমি কোনদিনও তাদের সাথে সিগারেট খাই নাই বা খাওয়ার চেষ্টাও করি নাই। আমি সেগুলোর ব্যাপারে যেমন সচেষ্ট ছিলাম ঠিক তেমনি নিজের আচরণ পরিবর্তনের ব্যাপারেও বেশ কঠিন ও কঠোর ছিলাম। দেখুন চেষ্টা করে সেটা আপনার ক্ষেত্রেও সম্ভব কিনা?

Image Taken from Pixabay 1 and 2

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
default.jpg

 4 years ago 

একজনের ভাইরাসে বাকি নয়জনকে আক্রান্ত করে ফেলে এবং একটা সময় শেষে সবাই সিগারেটের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়।

এটা অত্যান্ত দুঃখ জনক হলেও সত্য। এমন অনেক বন্ধু আছে আমার যারা খুব বোকা ছিলো স্কুল লাইফে তবে তারা আজ সব ধরনের নেশার সাথে যুক্ত। আর সিগারেট এটা তো ডাল ভাত। এটার জন্য দ্বায়ী সে সমস্ত ভাইরাস। তবে ভাই আপনি যেমন নিজেকে কন্টোল করছেন বন্ধুদের সাথে মিশেও নিজেকে ঠিক রাখছেন, আমিও আল্লাহ রহমতে এখনো সে সব ভাইরাসবাহী বন্ধুদের সাথে আগের মতোই মেলামেশা করি তবে আজও তাদের ভাইরাস আমাকে আক্রমণ করতে পারে নাই।

আপনার ছেলে ছোট বয়সেই ভাইরাসের বিষয়টা বুঝতে পারছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে নিজেকে কন্টোল করার ক্ষমতা না থাকলে খারাপ বন্ধুদের সাথে না মেশাই ভালো। আপনার আবোল-তাবোল জীবনের গল্পগুলো আমার কাছে অসাধারণ লাগে ভাই। ভালোবাসা নিয়েন।

 4 years ago 

দেখুন চেষ্টা করে সেটা আপনার ক্ষেত্রেও সম্ভব কিনা?

ভাইয়া আপনি সবসময় শিক্ষনীয় ও খুব গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো আপনার লেখার মাঝে তুলে ধরেন। আসলে আমাদের জীবনের বাস্তব প্রেক্ষাপট গুলো আপনার লেখায় ফুটে ওঠে। সত্যি বলতে ভালো খারাপের মাঝেই আমরা বেঁচে আছি। আমাদের চারপাশে যেমন ভালো লোক আছে তেমনি খারাপ লোক আছে। আমরা যদি খারাপ লোকের পাল্লায় পড়ে নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলি তাহলে সত্যিই অনেক দুঃখের বিষয়। অনেকক্ষেত্রেই বন্ধু বান্ধবের পাল্লায় পড়ে আমরা অনেক অন্যায় করে ফেলি। তবে সবাইকে সচেতন হওয়া উচিত এবং নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা উচিত। আমরা যদি নিজের আচরণ কে সংযত না করতে পারি তাহলে আমরা আবার কিসের মানুষ। তাই চেষ্টা করি সব সময় নিজেকে সংযত রাখার এবং সবার সাথে ভালো ব্যবহার করার। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❤️❤️

Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.

Manually curated by @jasonmunapasee

r2cornell_curation_banner.png

 4 years ago 

ভাইয়া আজকে আপনার পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলেই আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে এবং সমাজে অনেক বন্ধু রয়েছেন যারা অল্পতেই নেশায় আসক্ত হয়ে যায়। বিশেষ করে স্কুল, কলেজে ছাত্রদের মধ্যে এই সম্ভাবনাটা বেশি হয় কারণ একজন বন্ধু যদি সিগারেট খায় বাকি বন্ধুগুলো তো সিগারেট খায় না।তবে সাথে থাকতে থাকতে তারা সিগারেটটা খায়। আসলে এটা যদি উল্টো হতো যে সিগারেট খাওয়া বাদ দিতো। তাহলে অনেক ভালো হতো। আজকে আর একটা বিষয় ভালো লাগলো, যে আপনার বন্ধুরা তাস খেলেছে আপনি তাদের সাথে মিশেছেন কিন্তু এখন আপনি তাস খেলা বোঝেন না। আবার আপনার বন্ধুরা সিগারেট খেয়েছে আপনি তাদের সাথে মিশেছেন কিন্তু ওই ভাবে সিগারেট খাওয়ার সম্পর্ক তৈরি করেননি। আসলে আপনার আর আমার একই অবস্থা। আমার বন্ধু একই রুমে তিন বন্ধু থাকতাম। আমার বন্ধু রাতের বেলা সিগারেট খেত দুজন আমি মাঝখানে শুয়ে থাকতাম। তারপরেও আমার এই সিগারেটের নেশাটি হয়নি। সত্যি আপনার এই কথাটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে নেশা একটি নিজের ইচ্ছা পরিণত হয়ে খাকে।নিজের যদি মন থেকে নেশাকে ঘৃণা করে তাহলে কখনই এটি নেশায় পরিণত হবে না।

 4 years ago 

আসলে ভাইয়া আমি প্রায় সময় আপনার পোষ্টে একটা কথা বলে থাকি, সেটা হচ্ছে আপনার পোস্টগুলো মধ্যে শিক্ষণীয় কিছু বিষয় থাকে যা জীবনে চলার পথে ওই শিক্ষাগুলো কাজে আসে। আমি বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি আপনার মাঝে দুঃখ একটা আতঙ্ক বাসা বেঁধে আছে। যা আপনাকে প্রতিনিয়ত কুরে কুরে খাচ্ছে ঠিক এরকম। আজকের পোস্টে আপনি খুব সুন্দর করে বুঝাতে চেষ্টা করেছেন আপনার বাবুর সাথে স্কুলে গিয়েছেন এবং পাশে একটা ছেলে এসে অন্য একটা ছেলেকে একটু কড়া গলায় বলছিল ভাইরাসের সাথে না মিসার জন্য। আপনি কৌতূহলবশত ছেলের কাছ থেকে জানতে চাইলেন ভাইরাস কে,কাকে বলছে। ভাইরাসের সম্পর্কে আপনার ছেলে খুব সুন্দর করে জবাব দিল আমাদের ক্লাসের দুষ্টু একটা ছেলে যার সাথে মিশলে সবাই খারাপ হয়ে যায়। আর যেখানে ১০ জন বন্ধু আছে একসাথে চলাফেরা করে সেখানে একজন সিগারেট খায়, তার থেকে আস্তে আস্তে ৯ জনই সিগারেটের দিকে হেলে পড়ে। কিন্তু এটা হওয়ার কথা ছিল উল্টো। আসলে আপনার এই পোস্ট পড়ে যা বুঝতে পারলাম ভাইরাস এর কারণে ক্ষতি একেবারে সুস্পষ্ট। ভাইরাস এমন একটা জিনিস যা যেখান থেকে শুরু হয় সেখানে চতুর্দিকে গ্রাস করার চেষ্টা করে। যদি আপনার পুরো পোস্ট আমার পক্ষে বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়, শুধু একটা কথাই বলবো আমাদেরকে যে শিক্ষায় দিয়ে যাচ্ছেন সে শিক্ষা ভালো ভাবে সব সময় নিজের মতো আঁকড়ে ধরে রাখতে পারি। আপনার আবোল তাবোল জীবনের গল্প শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।

 4 years ago 

হাফিজ ভাই আপনার আজকের পোস্টটি পড়ছিলাম আর নিজের বেশ কিছু অতীত সামনে এসে গেছে। যেখানে হোস্টেলে ৫০ জন মানুষের মধ্যে মাত্র দুজন আমরা সিগারেট কখনো স্পর্শ করনি তবে এরজন্য অপমান আর অপদস্থ কম হতে হয়নি। দ্বিতীয়ত তাস খেলায় যখন পুরো হোস্টেল মেতে থাকতো তখন হয়তো আমি কোন কিছু ভেঙে নতুন কিছু তৈরি করার চেষ্টা করতাম। আর জীবনে এই পর্যায়ে এসে অন্যায় করতে পারলাম না বিধায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য হলাম। যাক আমি যত কষ্ট হোক আমার অবস্থানে শক্ত রয়েছি। কখনো পা পিছলে পড়ে গেলে বিশ্বাস রয়েছে হয়ত কিছু ভালো মানুষ পাশে এসে দাড়াবে নয়তো সুধরে দেবে ভুলটা।
গল্পের নাম আবল তাবল হলেও বাস্তবে এর অস্তিত্ব সবল।

 4 years ago 

গুরুত্বপুর্ন এবং সময়পোযোগী লেখা। আসলে আমরা মানুষরা সামাজিক জীব আর এরকম ছোটদের মনে বিষ ধুকিয়ে দেওয়াটা আমাদের অজান্তেই আমরা করে থাকি। কাউকে খোঁড়া ল্যাংড়া বলা হোক বা অমুক ছেলেটা খারাপ ওর সাথে মিশবি ন এই সবই তাদের মনকে সংকুচিত করে।
বাকি থাকলো সিগারেট - সত্যি বলি আমি অনেক চেস্টা করেও ছাড়তে পারিনি, আসলে কেউ কেউ বলবেন হয়তো আমি ছাড়ার চেস্টাই করিনি, কিন্তু তা নয়, সত্যিই চেস্টা করেছি। ছেড়েওছি কিন্তু আবার কেউ খাচ্ছে সেই গন্ধটা পেয়ে জাস্ট একটা টান আর ব্যাস। আবার এই চক্রবুহ্যে ঢুকে গেছি।
শরীরের খেয়াল রাখবো এবার থেকে ঠিক করেছি। দেখা যাক কতটা পারি। আর আপনার লেখাটা ভালো লেগেছে, ভাবার মতই বিষয় এটা। এরকম আরো লিখতে থাকুন, আনন্দে থাকুন, ভাবার মত লিখুন। আনন্দে থাকুন খুব ।

 4 years ago 

আপনার মন্তব্যগুলো সব সময়ই আমার নিকট দারুণ আকর্ষণীয় কিছু হিসেবে গন্য হয়। আমি দোয়া করি আপনি এই চেষ্টায় সফলতা লাভ করুন, ভালো থাকুক, জীবনকে উপভোগ করুন তবে সঠিকভাবে। ধন্যবাদ