বদ অভ্যাস যায় না বিপদেও!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে একটা মজার ব্যাপার শেয়ার করি। যদিও এটা আমার কাছে মজার কিন্তু আমার আম্মুর জন্য ভয়ংকর একটা ব্যাপার। কারণ এই ব্যাপার নিয়ে আমি প্রতিনিয়তই বেশ বকা শুনি এবং কিছু করার নেই। আসলে বদ অভ্যস্ত বদভ্যাসই হয়।

যাইহোক বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল কথায় আসি। আসলে আপনারা তো অনেকেই জানেন যে আমার একটু ঠান্ডার ধাতটা একটু বেশি। আর শ্বাসকষ্ট এর মাত্রাটা অনেক বেশি। তো এই শ্বাসকষ্টের জন্যই মূলত আমি আইসক্রিম খেতে পারি না। ব্যাপারটা এখন অনেকটা এমন হয়ে গিয়েছে যে যদি আইসক্রিমের দিকে চোখও দেই তাও যেনো আমার শ্বাসকষ্ট দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

আর মোটামুটি ঠান্ডা জাতীয় খাবার থেকে যতোটা দূরে থাকি ততটাই শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণে থাকে। অর্থাৎ শ্বাসকষ্ট ব্যাপারটা আসলে আমি নিজেই হাত ধরে টেনে আনি মতো অবস্থা হয় প্রায় সময়।

তো এটাই আসলে আমি সব সময় করি। অর্থাৎ আমার শ্বাসকষ্ট যখন একেবারে পুরোপুরি ঠিক হয়ে যায়। অর্থাৎ আমি যখন একেবারে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হয়ে যাই। ঠিক সেই সময়টাতেই আমি গিয়ে আইসক্রিম খাওয়া শুরু করি। কারণ আইসক্রিম আমার অসম্ভব পছন্দ। আর আমার মা সব সময় একটা কথাই বলে যে, আমার বদভ্যাস গুলো খুব বেশি বাজে এবং আমার বদভ্যাসগুলো নাকি কোনো অবস্থাতেই আমি বদলাতে পারি না। আসলে কথাটা খুব সত্যি, আইসক্রিম ছাড়া কোনো ভাবেই থাকতে পারিনা।

আর সে সাথে এই আইসক্রিমে হাত দেওয়ার সাথে সাথেই আমার অবস্থা হয়ে যায় খুবই খারাপ। অর্থাৎ শ্বাসকষ্ট অনেক বেশি খারাপ অবস্থায় চলে যায়। আর এরপরে তো সেই ইহালার, ওষুধ, ডাক্তার দেখানো, নেবুলাইজার ইত্যাদি ইত্যাদি। মানুষের জীবনে আসলেই বদভ্যাসগুলো বদলানো উচিত। যদিও এই নীতিবাক্য আপনাদের বলে লাভ নেই। কারণ এই নীতিবাক্য আমি নিজের জীবনেও মানি না, হাহাহা।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।